সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় বাকীতে সিগারেট না দেওয়ার কারনে ক্রেতা ক্ষিপ্ত হয়ে মুদি দোকানি এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা। নিহত যুবক মুদি দোকানি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট-তাহিরপুর রাস্তা সংলগ্ন হোসনাগ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে এমরান মিয়া(২৩)। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঘাতক লিটন মিয়া(৩৪) পালিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতা সকাল একঘন্টা পর তাহিরপুর থানা পুলিশের ঘাতক লিটনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। লিটন মিয়া একই গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ২১জু শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় উপজেলার বাদাঘাট টু তাহিরপুর সদর রাস্তার হোসনারঘাট গ্রামে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানাযায়, লিটন প্রতিবেশী তার এমরানের মুদি দোকান থেকে সিগারেট সহ তার পরিবারের নিত্যাপ্রয়োজনী জিনিস প্রায়ই বাকি ও নগদে ক্রয় করে থাকতো। কিন্তু আজ শুক্রবার সকালে লিটন ঘুম থেকে উঠে প্রতিবেশী এমরানের দোকানে যায় বাকিতে সিগারেট আনতে। এ সময় মুদি দোকানি এমরান পূর্বের বকেয়া টাকা না দেয়ায় সিগারেট দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ সময় লিটন ক্ষিপ্ত হয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লিটন তার বসতঘর থেকে দাড়ালো দা এনে এমরানের দোকানের ভিতরে ফেলেই উপর্যুপরি কুপিয়ে এমরানকে হত্যা করে লিটন।
নিহত এমরানের পিতা জানান, আমরা ঘরের ভিতর থেকে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আব্বা আমাকে বাচাঁও বাচাঁও বলে চিৎকার শুনতে পাই। পরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ঘর লাগোয়া সামনে দোকান ঘরে এসে দেখি লিটন আমার ছেলেকে দা দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। পরে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লিটনের কাছে আমার ছেলে আগেরও অনেক টাকা দোকান বাকি পায়। আজ আবার আইছে সিগারেট বাকি নিতে। সিগারেট বাকি না দেয়া আমার ছেলেকে কুপাইয়া মাইরা ফালাইছে। আমার একটাই ছেলে। তার তিনটা পুলা- মাইয়া আছে, বউ আমার হামিলদা( ম্যাগনেসি)। আমি মানুষের কাছ থাইকা চাইয়া চাইয়া আরা ছেকেডা দোকানে কয়েকটাকা লাভ হউতো তা দিয়াই খাইয়া না খাইয়া চলতাম। আমি চোখে দেখিনা। আল্লারে এখন এই বউ পুলাপান লইয়া কেমনে চলুম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দীন বলেন,এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।