• শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

দেবীদ্বার উপজেলা এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম

অনলাইন ডেস্ক:- / ৫৫ Time View
Update : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
ফতেহাবাদ বাজার থেকে কুড়াল পাড়া পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ এর চিত্র!

কুমিল্লা দেবিদ্বার থেকে ঘুরে এসে।

কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা এলজিইডির রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা ফতেহাবাদ বাজার থেকে পুর্ব দিকে কুড়াল পাড়া পর্যন্ত প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ করতে দেখা যায়। গত বছর নিম্ন মানের ইটের সুর্কি দিয়ে রাস্তা ভরাট করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইন্জিনিয়ারকে ম্যানেজ করে বিল তুলে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্হানীয় এলাকাবাসী। বর্তমানে সেই রাস্তায় কার্পেটিং এর কাজ চলছে, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিম্ন মানের ইটের সুর্কি দেওয়ার কারণে রাস্তার দুই পাশ ভেঙে পরেছে। এখন কোনো রকম পচা ইট দিয়ে ভরাট করে নতুন ঠিকাদার কার্পেটিং এর কাজ চালাচ্ছেন। এতটা নিম্ন মানের ইটের উপর কার্পেটিং করা হলে সরকারি নতুন রাস্তাটি কতদিন টিকবে!আর এই বিষয় কোনভাবে দেবীদ্বার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী দায় কি কোন ভাবেই এরাতে পারেন? এ বিষয়ে দেবীদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ সরকারের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদক্ষেপ নিবেন, তবে এর কয়েকদিন পরে সরজমিনে গেলে দেখা যায় আগে যেমনটা ছিল এখনো ঠিক তেমনই আছে। আর সেভাবেই কাজ চলেতেছে।

ফতেহাবাদ বাজার থেকে কুড়াল পাড়া পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ এর চিত্র!

খোঁজ নিয়ে দেখা যায় দেবীদ্বার থানার গেইট থেকে ফতেহাবাদ বাজার পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে মেসার্স জামান ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদার লিটন, এখানেও একই অবস্থা, নিম্ন মানের ইটের সুর্কি বালু মাটি দিয়ে মিক্সিং করে রাস্তা নির্মাণ করে এখন কার্পেটিং এর কাজ চলছে, এ অবস্থায় সরজমিন এ দেখা যায় কার্পেটিং করা রাস্তার দুই পাশে ভেঙে পরছে, ফতেহাবাদ বাজার থেকে পশ্চিম দিকে তাকালেই দেখা যাবে কতটা নিম্ন মানের কাজ হচ্ছে! সরকারি অর্থ দিয়ে এতটা নিম্ন মানের কাজ এর বিষয় এ দেখার দায়িত্ব পালন করতে বের্থ বলে মনে করেন স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষ, তারা মনে করেন দেবিদ্বার উপজেলা এলজিইডি মোটা অংকের টাকা পেয়ে ঠিকাদার এর বিরুদ্ধে কোনো বেবস্থা নিচ্ছেন না। চলমান দুইটি রাস্তার বিষয় জানতে প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার এর কার্যালয় গিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান যে ফতেহাবাদ এর রাস্তাটি আগের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর কোন হদিস নেই কিন্তু বিল উঠিয়ে নেওয়ার বিষয় তিনি ধোয়াশার মধ্যেই রেখেদেন, তবে এই রাস্তাটি কোন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ নিচ্ছেন না লস হবে বলে আমরা কোন রকম হাতে পায়ে ধরে কাজ করাচ্ছি। আমাদের দেশের সরকার টাকা দিয়ে কাজ করাচ্ছেন কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর কাছে যে কতোটা অসহায় সেটা তার বক্তব্যে বুঝে আসেনি, বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণের কাজ করছেন কিন্তু এই রকম সাধারণ একটি রাস্তার কাজ ধরে সরকার এতোটাই হসহায় হবেন বুঝে আসেনা!

দেবিদ্বার থানার গেইট থেকে প্রায় ১০ কি:মি: টার রাস্তায় অনেক জায়গাতে কাজ শেষ সেটাও করেছেন নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে যা অধিকাংশ জায়গাতে ভাঙ্গন ধরেছে আবার অনেক অংশ ভেঙ্গেও গেছে প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার জানান আসলে নিম্নমানের নহে মধ্যম মানের আর ১ নাম্বার ইট মিশ্রণ রয়েছে আর ইট যখন ভাঙ্গা হয় তখন এর কালারটা ডিস কালার হয়ে যায়, যার ফলে মানুষ মনে করে এই ইট দুই নাম্বার আসলে তা নহে কিন্তু আর ভাঙ্গা এর বিষয়ে উক্ত রাস্তাটির কয়েক বছরের মেয়াদ রয়েছে এই সময় সীমার মধ্যে ভাঙ্গলে কিংবা ফাটলে সেটা ঐ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রিপেয়ার করে দিতে হবে বলে তিনি জানান। অনেক এলাকাবাসী রাস্তার কাজ নিম্ন মানের হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন বললে প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন দেবিদ্বারের মানুষ ঐক্য হয়ে কেন রস্তার কাজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছেন না বলেও প্রশ্নো ছুড়ে দেন কিন্তু প্রশ্নো হলো সরকার কি জনগণের কাছে উক্ত কাজের ভার দিয়েছেন নাকি উক্ত রাস্তার কাজ কি ভাবে হবে সেটা বিষয় কাগজ-পত্রের সব দিয়েছেন নাকি জনগণের কথা বিল প্রধান করবেন কিংবা তদারকি দায়িত্ব জনগনের? এর পরেও দেবিদ্বারের মানুষ এর রাস্তার আস্থা বাজন দেবিদ্বার উপজেলা এলজিইডি রাস্তার কাজ গুণগতমান ভালো করবেন বলে আসা রাখেন কিন্তু যেখান্ব নিম্ন মানের কাজ শেষ হয়ে গেছে সেই রাস্তা গুলি কি তাহলে আবার ভেঙ্গে রিপেয়ার করবে নাকি সরকারের ভাড়া ভাত কাকে খাবে। বর্তমান চলমান বিভিন্ন ব্যক্তি দুর্নীতির অঢাল সম্পদের পাহাড় গড়ছেন কি তাহলে এই ভাবেই!

দেবীদ্বার থানার গেইট থেকে ফতেহাবাদ বাজার পর্যন্ত রাস্তার চিত্র!


গত সাপ্তাহ দেবিদ্বার উপজেলা ফরেস্ট অফিসার আঃ মতিনের ঘুষ বানিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে তার বক্তব্যে নিতে গেলে তিনি বলেন আপনি লিখেন আমি তথ্য দেব কুমিল্লা এলজিইডির ১২ হাজার কোট টাকা দুর্নীতি লেখেন আপনি দেবিদ্বার উপজেলা এলজিইডির ৭ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করছেন আমি বক্তব্য দেব বলে তিনি বলেন। তবে হে এলজিইডির চাইতে ফরেস্ট অফিসার আঃ মতিনের দুর্নীতি অনেক কম বলে দাবী করেন আসলেই সত্য বলে দাবী করেছেন কিনা সেটার সূত্র ধরেই আমাদের অনুসন্ধার চলছে।

সংবাদ চলবে।
সূত্র সাপ্তাহিক দেশপত্র।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ভাষা পরিবর্তন করুন »