• শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন

মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ

বাবু চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:- / ৫১ Time View
Update : শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে থানা এখন চাঁদাবাজির ঘাটে পরিণত হয়েছে। কাগজপত্র যাছাই, অবৈধ পার্কিং ও চলাচলসহ নানা কারণে টাকা আদায় করছে মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।

এতে গাড়ির মালিক-চালক, মোটরযান ব্যবসায়ী সবার ত্রাহি অবস্থা। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করতে প্রস্তুত।সূত্রে জানাজায়, মহাসড়কে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে চকরিয়া-মালুমঘাট-খুটাখালী ডুলহারাসহ বিশাল এলাকা দেখভাল করছেন মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।

অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. মোজাম্মেলহক এর নেতৃত্বে মহাসড়কের মেধাকচ্ছপিয়া ঢালায় দিনের পৃথক সময়ে চেকপোস্ট বসান। সেখানেই দূরপাল্লার বাস ছাড়া আন্তঃসড়কে চলাচল করা মাইক্রো, কার, জিপ, ডাম্পার, ট্রাক, মিনিট্রাক, সিএনজি, টমটমসহ সব ধরনের যানবাহন আটকিয়ে নানা অজুহাতে টাকা আদায় করা হয়।

কাগজপত্র ঠিক থাকলেও তাদের নির্ধারিত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই জরিমানা কিংবা মামলার খড়গ নামছে মালিক-চালক সবার কপালে। বিশেষ করে মাসের মাঝামাঝি ও শেষ সময়ে এ মাত্রা তীব্র হয়।

অভিযোগে রয়েছে, সম্প্রতি প্রাইভেট কার চালক বদিউল আলম মালিকের পরিবারের সদস্যদের মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার গাড়িটি থামিয়ে কাগজপত্র দেখা হয়। তাতে কোনো হেরফের না পেয়ে ভাড়ায় চালানোর অভিযোগে জরিমানা করা হয়।

জুনের শেষ দিকে ডাম্পার চালক কামাল উদ্দিনকে মালুমঘাট স্টেশনে আটকিয়ে ১৫ হাজার টাকা, পর্যটকবাহী চেয়ারকোচ চালক মিজানুর রহমানকে খুটাখালী স্টেশনে থামিয়ে ১০ হাজার টাকা, কভার্ডভ্যান চালক মনজুরকে খুটাখালী-নয়াপাড়া ব্রিজ এলাকায় পার্কিংয়ের অপরাধে ৬ হাজার টাকা, পিকআপ চালক মনজুর আলমকে ডুলাহাজারা স্টেশন থেকে লাকড়ি ভর্তি গাড়ি আটকিয়ে ৫ হাজার টাকা আদায় করে।

এছাড়া ডাম্পার চালক নূর আহমদের কাছ থেকে ১৩ হাজার টাকা, টমটম চালক সাইফুল ইসলামকে মালুমঘাট সড়কে আটকিয়ে ৫ হাজার টাকা, মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে ডেলিভারি রোগী নিয় আসা সিএনজি চালক নুরুল ইসলামকে আটকিয়ে ৭ হাজার টাকা আদায় করে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ।

মালুমঘাট থানার ইনচার্জ মোজাম্মেলের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার নামে অসংখ্য যনবাহনকে বিভিন্নভাবে লাখ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর মো. মোজাম্মেলহক মালুমঘাট থানায় দায়িত্ব নেওয়া পর থেকে এ নিয়মটি চালু হয়। তার এ কর্মকাণ্ডে পুরো হাইওয়ে পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে দাবি ভূক্তভোগীদের।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা মতে, ত্রিহুইলার সিএনজি, টমটম মহাসড়কে চালানো নিষেধ। কিন্তু কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় আসতে গেলে অবশ্যই মহাসড়ক হয়ে যেতে হয়। এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ।

কক্সবাজার চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে থানার বিশাল এলাকায় কোথাও বড় কোন সিএনজি স্টেশন নেই। রাতে এবং সকালে গ্যাস নিতে সিএনজিগুলো মাহাসড়কে আসতে হয়, সে সময়েও গ্যাস নিয়ে ফেরা গাড়িগুলোও হয়রানি থেকে বাদ যাচ্ছে না।  নির্দিষ্ট গ্যারেজে চার্জিং করে উপসড়কগুলোতে যেতে গিয়ে হাইওয়ে পুলিশের ব্যারিকেডে পড়ছে টমটম।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, কনস্টেবলের সহায়তায় ইনচার্জ মোজাম্মেল হক গাড়িপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে বখরা আদায় করে আসছেন।

অনেক সময় গ্যারেজ থেকেও টমটম নিয়ে এসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। অপর একটি সূত্র জানায়, মামলা কিংবা জরিমানায় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হলেও বিপরীতে স্লিপ দিয়ে সরকারি রাজস্ব আদায় দেখানো হয়  ১থেকে ২ হাজার  টাকা। এরপরও যানবাহন সংশ্লিষ্টদের কোনো উচ্চবাচ্য করার সুযোগ থাকে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোজাম্মেলহক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঝামেলায় আছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ভাষা পরিবর্তন করুন »