৯টাকার লবণ কেন ৪০টাকায় কিনতে হয়?
বিসিক কক্সবাজার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৬৮ হাজার ৩০০ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। এবারে দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন।
এরই মধ্যে উৎপাদন হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ ২৩ লাখ ৩১ হাজার টন। যা অতীতের সব ইতিহাসকে পেছনে ফেলেছে। অথচ গত বছর ৬৬ হাজার ৪২৪ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৩৩ টন। চলতি লবণ মৌসুমে লবণচাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৭০০ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪০০ জন। ফলে গেল বছরের তুলনায় এ বছর লবণচাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৩০০ জন।
বিসিক লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতি মণ লবণ ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ ১কেজি লবণের মাঠের দাম ৯টাকা। যা ১২-১৩সালে ২টাকা ছিলো। এটি যখন কারখানায় নিয়ে ফ্রেশ করে আয়োডিন দিয়ে বাজারজাত করা হয় তখন তা হয়ে যায় ৪০টাকা।
এদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে, দেশের এই শিল্প ধ্বংস করতে ১৯টাকা কেজি দরে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে লবণ আমদানির খবর সবার কাছে জানা।
একটি সরকার দলীয় সেন্ডিকেটের কবলে লবণ শিল্প কক্সবাজার -কুতুবদিয়া থেকে কম দামে কিনে তা বেশি দামে পাচার করে বিদেশ থেকে আমদানি মানে পুরা লবণ শিল্প জলেই গলে যাওয়ার মত অবস্থা..!
স্থানীয় লবণ চাষীদের দাবি, দেশীয় লবণ শিল্প কে বাঁচাতে বিদেশি লবণ ও পণ্য আমদানি না করে কিছু টা কম দামে ও চাষীদের কাছ থেকে দেশের লবণ ক্রয় করে এই শিল্প ধ্বংস হতে রক্ষা করা সম্ভব।