রাজাকার শব্দটি আমার কাছে আলাদা রকম গাত্রদাহ বা তুষ্টতা সৃষ্টি করে না মোটেও। সম্ভবত ২০১৩ সালের দিকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চলে, গড়ে উঠে শাহবাগ-প্রতিষ্ঠা পায় প্রজন্ম চত্ত্বর। এসবের বিরুদ্ধে পাল্টা অবস্থান নেয় হেফাজতে ইসলামের লাখ লাখ কর্মি সমর্থক।
ওই সময় বাদ-প্রতিবাদ, পাল্টা আন্দোলনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে উঠে রাজাকার শব্দটি। দীর্ঘদিন পর কোটা বিরোধী চলমান উত্তাল আন্দোলনকে ঘিরে আবার মুক্তিযোদ্ধাদের বিপরীতে ‘রাজাকার‘ শব্দটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
কিন্তু বরাবরই আমার মনে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে লাখো বীর যোদ্ধার পাশাপাশি তারামন বিবির মতো সাহসী নারীরাও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। নারী যোদ্ধাদের কেউ কেউ বীর প্রতিক পদক অর্জনেও সক্ষম হয়েছেন। ওই সময়ে পুরুষ রাজাকারদের যাবতীয় অপকর্মে সহায়তার মাধ্যমে মহিলা রাজাকাররাও তো ঘৃণ্য সব কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন।
তাহলে আন্দোলন-মিছিল-প্রতিবাদী বৈঠকে মহিলা রাজাকারদের তালিকা তৈরি বা তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করা হয় না কেন? শুনেছিলাম, দেশের মাত্র ৮১ জন মহিলা রাজাকারকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ক্ষমা করেছিলেন, কিন্তু বাকি মহিলা রাজাকাররা কে কোথায় কেমন আছেন?