বৈষম্যবিরোধী নির্যাতিত সাংবাদিক আন্দোলনের কেউই প্রেসক্লাব ভাংতে যায় নি। বরং উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ভাংতে যাওয়া প্রেসক্লাবকে রক্ষা করেছিলেন।
বংগন্ধুর ম্যুরালের সামনে গ্লাস ভাংতে যখন কেউ কেউ উত্তেজিত হচ্ছিলো তখন তাদের সামনে আমি আর শিল্পীভাই দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। যদিও ম্যুরালের সামনে থাকা গুটি দুয়েক গ্লাস আমরা রক্ষা করতে পারিনি।
উত্তেজিত জনতার হাত থেকে প্রেসক্লাব ভাংগা থেকে রক্ষা করতে তখন কিন্তু আপনারা কেউ এগিয়ে আসেন নি। আমরাই ছিলাম দেওয়াল হয়ে। রক্ষা করেছি প্রেসক্লাব কে।
শিল্পী ভাই, মুরাদ ভাই, নোমান ভাই বারবার করে চিৎকারে দিয়ে সবাইকে বলছিলেন, প্রেসক্লাব কারও পৈত্রিক সম্পত্তি না। প্রেসক্লাব সবার। এখানে কেউ হাত দিবেন না। ধংসযজ্ঞ চালাবেন না।
যারা দুস্কৃতকারি বলে অপবাদ দিচ্ছেন তারা একটু খেয়াল করবেন নাহয় সিসি ক্যামেরা দেখে নিবেন।
বংগবন্ধুর ম্যুরালের সামনে থাকা দুইয়েকটা গ্লাস ছাড়া প্রেসক্লাবের কোথাও কোনো আঘাত লাগে নি। ভাংচুর হয়নি৷ কেউ যদি বলে প্রেসক্লাব ভাংচুর হয়েছে তাহলে তিনি মিথ্যা বলছেন। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়েই বলছি তিনি মিথ্যা বলছেন।
ফুটনোট গুজব না ছড়িয়ে উদ্ভব সংকট সমাধানের পথ বের করতে হবে আমাদের। প্রেসক্লাব কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে দখল নিয়ে নিবেন-কব্জা করে ফেলবেন।
আর বৈষম্য বিরোধী নির্যাতিত সাংবাদিক আন্দোলনের কেউই দখলদার না। প্রেসক্লাব দখলে নিবেন। প্রেসক্লাব শুধুই আপনাদের না প্রেসক্লাব সবার- এই বৈষম্য দূর করতেই নতুন বাংলাদেশের কাছে নির্যাতিত সাংবাদিকদের দাবি৷
সাংবাদিক জালাল উদ্দীন সাগরের টাইমলাইন থেকে