সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করায় দেশের বৃহৎ শিমুলবাগান ও যাদুকাটা নদী হুমকীর মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পাড় কাটার সাথে তাহিরপুর উপজেলার থানার ওসি এই বিষয়ে জড়িত আছে বলেও দাবি করেন তারা। এবং ওসি এসএম মাইনুদ্দিন ও এসআই হেলাল জড়িত থাকায় তাদের প্রত্যাহারেরও দাবি জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ আলফাত স্কোয়ার সামনে তাহিরপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধনে এই দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিরাতে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে দেশের বৃহৎ শিমুলবাগানসহ কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে রয়েছে। এতে করে কয়েকটি গ্রাম বিলিন হয়েগেছে ।এবং আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি অনেকবার প্রশাসনকে জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা এই বিষয়ে কোনো খেয়ালই করছে না। তার সাথে সেখানে পর্যটকরাও আসলে হুমকির মধ্যে পরতে হয়।
তাহিরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী মো. আজিজুর রহমান কাওসার বলেন, যাদুকাটা নদীর পাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না। আমরা বারবার অভিযোগ করার পরও নদীর পাড় কাটা চলছে। রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অবৈধ ভাবে নদীর পাড় কেটে অসংখ্য গ্রামের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করছে। যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগানসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, বশির উদ্দিন এবং,জাহিদ, মইনুল ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী ও পুলিশ সুপার এমএন মুর্শেদ’র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।