স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক শিল্পে। ভয়ে ভয়ে কাজে যোগ দিয়ে কোনরকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ সকলে কাজে যোগ দিয়েছেন এই এলাকার অধিকাংশ শ্রমিকরা। একদিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। অপরদিকে কিছু শ্রমিকরা অহেতুক কাজের যোগদান না করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। করছে ভাঙচুর। ফলে মালিক কর্তৃপক্ষ সমস্যা দেখলেই কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। অনুসন্ধানে জানা যায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত কয়েকদিন শ্রমিক বিক্ষোভের পর আজ ৪৫টি ছাড়া অন্য সবগুলো তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। ফলে কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের মালিক-শ্রমিক উভয়ের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছেমঙ্গলবার বিগত দিনের চেয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্পপুলিশ।সকাল থেকে শিল্পাঞ্চলের বাইপাইল, জামগড়া, শিমুলতলা, নরসিংহপুর, ঘোষবাগ, জিরাবো, কাঠগড়া, বাইপাইলসহ ও সাভার, আমিনবাজার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দেওয়ায় কোথাও কোনো প্রকার বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনিএদিকে, বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাজিরা বোনাস ও টিফিন বিল বাড়িয়ে শিল্পাঞ্চল
আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা আজ খোলার কথা ছিল। প্রায় সব কারখানা খুলে দেওয়া হলেও ৪৫ টি কারখানায় শ্রমিকরা ও মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।শিল্পপুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কারখানায় শ্রমিক ও মালিকপক্ষের আলোচনা চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে এ কারখানাগুলোতেও উৎপাদন শুরু হবে।শ্রমিকরা জানান, অনেক কারখানায় আজ উৎপাদন শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ শুরু করেছেন। কিছু কিছু কারখানা এখনো খুলে দেওয়া হয়নি। গেটে এখনো বন্ধের নোটিশ রয়েছে। এসব কারখানার শ্রমিকরা বাসায় ফিরে গেছেন। শ্রমিকরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কাজে ফিরবেন।এব্যাপারে শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে
কারখানাগুলোতে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। বাইরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ আমরা দিচ্ছি না।শিল্পাঞ্চলের যেসব জায়গায় গন্ডগোল হওয়ার ঝুঁকি আছে সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও আমাদের শিল্প পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে আজ দুপুরে টেক্স ম্যাক্স গার্মেন্টসে ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়ে উঠছে বলে জানা যায়। এর আগের আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেটে ডিসান সোয়েটার আমরা খেলায় দুষ্কৃতিকারীরা, পুরো ফ্যাক্টরি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া শারমিনগ্রুপ এবং হামিম গ্রুপে আংশিক ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। এই বিষয়ে শ্রমিকা বলেন আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমরা সংঘাত চায়না কাজে ফিরতে চাই।