সীমান্ত হত্যার বিচার না করে যারা ভারতের সাথে স্বামী-স্ত্রীর মত সম্পর্ক গড়েছে, তাদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন সারজিস আলম। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাত এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সমন্বয়ক সারজিস আলম। মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সারজিস আলম পঞ্চগড়ের মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই পঞ্চগড় একটি সীমান্ত এলাকা। পঞ্চগড়ের মানুষ সীমান্তের কাছাকাছি গেলে বিএসএফের গুলিতে মারা যায়। পঞ্চগড়ের মানুষ কি বিএসএফের গুলিতে মরার জন্য জন্মেছিল? সীমান্তে খুনিদের বিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনা এতদিনেও করতে পারেনি। বাংলাদেশে এই যে সিস্টেমগুলো বিগত ১৬ বছরে একটার পর একটা নষ্ট করা হয়েছে, বাধ্য করে প্রত্যেকটি মানুষকে বানানো হয়েছিলো হুকুমের দাস। এর দায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে নিতে হবে। ‘

তিনি উপস্থিত অভিভাবকদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘সন্তানদের শুধুমাত্র ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে বলবেন না। তাদেরকে রাজনীতি সচেতন করে গড়ে তুলুন। রাজনীতি করতে বলুন। দিন শেষে রাজনীতিবিদরাই সংসদে দেশ পরিবর্তনের আইন প্রণয়ন করেন। গত ৫০ বছর ধরে উত্তরবঙ্গ একটি অবহেলিত জনপদ। এবার এই জনপদের উন্নয়নের সময় এসেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে কোন আঞ্চলিক পরাশক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা। এটা ২০২৪ সাল। এই সালেও একটি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। উত্তরবঙ্গ হবে একটি উন্নত এলাকা। শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য ছাত্র জনতা রক্ত দেয়নি। আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের বদলা নেয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদেরকে বিতর্কিত করতে ফ্যাসিবাদী শক্তি চারদিকে কাজ করছে। বিপ্লবী শক্তি কোন ষড়যন্ত্রে মাথা নোয়াবেনা। যারা আমাদেরকে বিতর্কিত করতে চাইবে তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে। ‘

সীমান্তবর্তী এলাকা পঞ্চগড়ে ভারতের আধিপত্য নিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘পঞ্চগড়ে ভারতীয় আধিপত্য চলবেনা। ভারতীয় আধিপত্যের জন্য পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। চা পাতার দাম কমে গেছে। স্বাধীন দেশে ভারতের আধিপত্য মেনে নেওয়া হবেনা। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক রকিব মাসুদ, আবু সাঈদ লিয়ন, সহ-সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্য উপকমিটির সদস্য মিশু আলী সুহাস, জহির রায়হান প্রমুখ ।