খাগড়াছড়িতে আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার জেরে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি এ ঘটনা সংশ্লিষ্ট দুটি মামলা হয়েছে। খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজনিল শহীদ চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

অন্যদিকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার ঘটনাসহ দুই অভিযোগে আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। তবে শিক্ষক সোহেল রানা হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।   গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায়। ঘটনাটির পর উত্তেজনা ছড়ায় এবং তা পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতে রূপ নেয়।

বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি বাজার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা জনগণকে অনুরোধ করবো যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। সোহেল রানার পরিবারের সদস্যরা এলে মামলা দায়ের করা হবে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি।