চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে কামরুল আলম হত্যাকান্ডের ক্লুলেস মামলার ঘাতক চালক আবদুল্যাহ আল মামুন প্রকাশ পারভেজ’কে মিরসরাই থানাধীন কমলদহ বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
নিহত ভিকটিম মোঃ কামরুল আলম (৫০) চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন কাজির তালুক এলাকার বাসিন্দা। ভিকটিম গত ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখে নিজ বাড়ি হতে পায়ে হেঁটে বড় তাকিয়া বাজারে যাওয়ার সময় সকাল ০৮. ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন ১২নং খৈয়াছড়া ইউপিস্থ বড় তাকিয়া দক্ষিণ বাইপাস এলাকার চক্ষু হাসপাতালের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত ও বেপরোয়া গতির একটি বাস এবং একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেকিংয়ের সময় ভিকটিমকে পিছন থেকে চাপ দিয়ে পিষ্ট করে। এতে ভিকটিম মোঃ কামরুল আলম গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কুমিরা হাইওয়ে থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় নিহত ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানায় উপরোক্ত বাস ও কাভার্ড ভ্যানের অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ০৮/১০৩, তাং- ১২ জুলাই ২০২৪ ইং, ধারা- ৯৮/১০৫, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত মামলার অজ্ঞাত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। নজরদারির একপর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলার ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের আসামি ঘাতক গাড়িচালক আবদুল্যাহ আল মামুন প্রকাশ পারভেজ চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন কমলদহ বাজারে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ০৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বিকেল ০৫.৩০ মিনিটে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আবদুল্যাহ আল মামুন প্রকাশ পারভেজ (২৪), পিতা- মোঃ হারুন, সাং- নয়াপাড়া, থানা- চর জব্বার, জেলা- নোয়াখালী’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক এবং মিরসরাই থানাধীন ১২নং খৈয়াছড়া ইউপিস্থ চক্ষু হাসপাতলের সামনে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ভিকটিম মোঃ কামরুল আলমকে গুরুতর যখম করে হত্যা করার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সে আরো জানায় যে উক্ত ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য সে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে তাকে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।