কুমিল্লায় পৃথক ঘটনায় বৃদ্ধা, শিশু ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জেলার চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিণ ও লালমাই পাহাড় থেকে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।
বৃদ্ধার লাশ টয়লেটের ট্যাংকে
চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের পূর্ব ধনুসাড়া গ্রামে একটি বসতঘরের টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে ৬৫ বছর বয়সী সাহেদা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাহেদা ওই গ্রামের মাওলানা আব্দুল মমিনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার ভোরে সাহেদার স্বামী ইমামতি করতে বের হন। বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে টয়লেটের পাশে তার পোশাক ও জুতা দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ট্যাংকের ঢাকনা খুলে সাহেদার নিথর দেহ আবিষ্কার করেন তিনি।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক সুরতহাল করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
লালমাই পাহাড়ে ০৯ বছরের শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
এদিন লালমাই পাহাড়ের চন্ডিমুড়া এলাকা থেকে ৯ বছর বয়সী মো. রিফাত হোসেনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিফাত বরুড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।
শনিবার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিল রিফাত। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বরুড়া থানায় গত ০২ জানুয়ারী একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সোমবার পাহাড়ে লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে হত্যা করে পাহাড়ে ফেলে গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
সদর দক্ষিণে যুবকের লাশ উদ্ধার
একই দিনে সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের মোহনপুর এলাকা থেকে ২৮ বছর বয়সী টিপু সুলতানের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি একই উপজেলার গাবতলী গ্রামের দেলু মিয়ার ছেলে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ রাত ৮ টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে। তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি মৃত্যুর ঘটনা আলাদাভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে টিপু সুলতানের স্বজনরা সদর দক্ষিন মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলার তদন্ত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডির্পাটমেন্ট (সিআইডি) সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্ত করছেন। খুবই শ্রীঘ্রই এই মামলার ঝট খুলবে।