• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
আগুনে দগ্ধ শিশু ফাতেমার দায়িত্ব নিলেন রবিউল ইসলাম নয়ন মহম্মদপুরে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ও ইমামদের সাথে মতবিনিময় সভা বাংলাদেশ সংস্কার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন জাতিসংঘ মহাসচিবের সেই রাতের ঘটনা কেঁদে কেঁদে জানালেন মাগুরার মৃত শিশুটির মা কুমিল্লায় জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ঢাবিতে উসকানির মাস্টারমাইন্ড প্রায় দুইশ শিক্ষক-ছাত্রলীগ নেতা দীঘিনালায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবারও বন্ধ করলেন দুই ইটভাটা স্থায়ীভাবে! হাসিনা আমলের ৫৬০ মডেল মসজিদে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে: প্রেস সচিব দেশবাসীকে কাঁদিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত মাগুরার শিশুটি কুমিল্লায় বাঁচার জন্য লড়াই করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার কর্মী এবং স্থানীয় সাংবাদিক: মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র

ভিকটিম ও সাক্ষীর সুরক্ষায় পুলিশ সংস্কার কমিশনের যেসব সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক / / / ২০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মডেল প্রতিষ্ঠায় পুলিশ সংস্কার কমিশন (পিআরসি) ভিকটিম এবং সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে, কারণ পুলিশ একটি আইনি কাঠামোর আওতায় অপরাধীদের কাছ থেকে তাদের সুরক্ষা দিতে পারে।

পিআরসি তার সম্প্রতি প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ‘ভিকটিম এবং সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য একটি আইন প্রণয়ন জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। পুলিশ ভিকটিম এবং সাক্ষীদের সুরক্ষায় এবং জনগণের আস্থা অর্জনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেও সক্ষম হবে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই আইনটি পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বকে আরও স্পষ্ট ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসবে এবং জনগণ ও পুলিশের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

এতে বলা হয়, বর্তমানে ভিকটিম ও সাক্ষীদের ভয়ভীতি বা অপরাধীদের প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য কার্যকর আইনি কাঠামোর অভাব রয়েছে।

‘এই আইনটি ভিকটিম ও সাক্ষীদের গোপনীয়তার অধিকার নিশ্চিত করবে এবং আইনগত সুরক্ষা দেবে। এতে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা সহজ করবে, যা অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

পিআরসি বলেছে যে ভিকটিম এবং সাক্ষী সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি আইন জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মডেল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।

পিআরসির প্রতিবেদন একটি জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর প্রয়োজনীয়তার পুনর্মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়েছে।

বিগত ১৫ বছরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের একটি বড় অংশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) জড়িত থাকার ইঙ্গিত করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন ও অবৈধ গ্রেপ্তারের গুরুতর অভিযোগের কারণে দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে র‌্যাব। এছাড়াও, এর কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে বিতর্কিত হয়েছে এবং কেউ কেউ এই সংস্থটিকে নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছে।

পিআরসি বলছে, ‘এই প্রেক্ষাপটে, বর্তমান সময়ে র‌্যাবের প্রয়োজনীয়তার পুনর্মূল্যায়ন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ’। পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং জনবান্ধব পুলিশী ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য র‌্যাবের অতীত কর্মকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্যালোচনা করে তার প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়ন করা অপরিহার্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ভাষা পরিবর্তন করুন »