মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলাকায় বসবাসকারী মোঃ জহিরুল হক (৩৮) এর সাথে একই এলাকার বসবাসকারী তার প্রতিবেশী লোকমান খান স্বপন এর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব হতে দ্বন্ধ চলে আসছিল। গত ০৪/০১/২০২৫ তারিখ জহিরুল হকের ছোট ভাই সৈকত এক মাসের ছুটি কাটাতে সৌদি আরব থেকে বাড়ি আসে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতার জের ধরে গত ১৫/০১/২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ০৬.০০ মিনিটে আসামী লোকমানসহ তাদের সঙ্গীয় ৪/৫ জন আসামী মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানাধীন খালপাড় এলাকায় পাকা ব্রিজের উপর ভিকটিম সৈকতকে একা পেয়ে ধারালো চাপাতি,চাইনিজ কুড়াল,লোহার রড, হকিস্টিক ও কোদালের বাট দিয়ে এলোপাথাড়ি আক্রমন করে। আসামীদের মারাত্বক আঘাতে ভিকটিম সৈকত গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে আহত সৈকতের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লোকমানসহ সকল আসামীরা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গত ২৭/০১/২০২৫ তারিখ বিকাল ০৫.০০ মিনিটে উক্ত হাসপাতালে নিউরো আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম সৈকত মৃত্যুবরণ করে।
উক্ত ঘটনায় মৃত সৈকতের বড় ভাই মোঃ জহিরুল হক বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানায় লোকমানসহ এই হত্যাকান্ডে জড়িত ০৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৫, তারিখ-২৬/০১/২০২৫ খ্রিঃ ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/
নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করায় সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল প্রবাসী সৈকত হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-১২ এর সহযোগিতায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ দুপুর ০১:০৫ মিনিটে পাবনা জেলার বেড়া থানাধীন এলাকায় উল্লেখিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ০৪নং আসামী মো: লোকমান হোসেন স্বপন (৩৫), পিতা-মৃত আনোয়ার হোসেন, সাং- খালপাড়, থানা- সিরাজদিখান, জেলা- মুন্সিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।