তিনি বলেন, যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ৪ বছরের শিশুকে হত্যা করতে পারে, তিনি আমাদেরও ফাঁসিও দিতে পারবেন। ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কে মরল কে বাঁচলো শেখ হাসিনার কাছে তা কোনো ব্যাপার না। এই রাক্ষসী দানবকে বাঁচিয়ে রাখলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইজ্জত-সম্মান আর কিছুই থাকবে না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্র, কথা বলার স্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত ছিল। এ স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি গত ১৭টি বছর শেখ হাসিনার ভয়াবহ নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণের বিনিময়ে একটি মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। আজকে যদি ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিত পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে না দিতো তাহলে এই দেশে স্বাধীনতার মুখ দেখা হতো না। এখন বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে জীবনযাপন করতে পারছে।
মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. ওয়াদুদ মুন্সীর সভাপতিত্বে ও মেঘনা উপজেলা যুবদল নেতা মাসুরুদ হক সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলন প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার, সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী প্রমুখ।