এর পর পরই প্রফুল্ল বাবুর পাঠানো পুলিশ সেখানে পৌঁছে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড দেখতে চান। কিন্তু পূর্ব মুহূর্তেই ছিনিয়ে নেয়ায় সংবাদকর্মীরা তাদের আইডি দেখাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ প্রথমে তাদেরকে ভুয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে আটক করে। দীর্ঘ সময় দেন দরবার শেষে সাজানো হয় চাঁদাবাজির মামলা।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে দীঘিনালায় সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে পরিচালিত ফোর বি ইটভাটা থেকে। ওই ইটভাটার মালিকানায় রয়েছেন মোহনা টিভির প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন। তিনি প্রফুল্ল‘র অন্ধ ভক্ত। গত ২০ জানুয়ারি দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মামুনুর রশীদ অভিযান চালিয়ে ফোর বি ইটভাটাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং স্থায়ীভাবে ভাটাটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রফুল্ল বাবুর প্রভাব খাটিয়ে আলমগীর তার ইটভাটা যথারীতি চালু রাখছিলেন।
সফররত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় সে দৃশ্য উঠে আসায় দ্রুত সেখানে হাজির হন সাংবাদিক-কাম-ভাটা মালিক আলমগীর হোসেন। তিনি অনুনয় বিনয়ের একপর্যায়ে ৫০০০ টাকা তাদের পকেটে গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাংবাদিকরা সে টাকা না নেয়ায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে গুরু এইচ এম প্রফুল্ল‘র সাহায্য চান। বাকিটা ঘটেছে তার রাক্ষুসে সাংবাদিকতার কীর্তিতে….
মামলার এজাহারে আলমগীর বলেছেন, তার ইটভাটায় গিয়ে এ চার সাংবাদিক দুই লাখ টাকা দাবি করলে তিনি এক লাখ দিতে রাজি হন। তা মশায়, আপনার ইটভাটার নামটা কি? আপনার ভাটা তো দুই মাস আগেই অভিযান চালিয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি কার নির্দেশে চালু করেছেন?
চাঁদাবাজি মামলা দায়েরকারী বাদী আলমগীরের ইটভাটা গত জানুয়ারি মাসেই যেহেতু সরকারি অভিযানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে- সেখানে চাঁদা দাবির সুযোগ থাকে কি? নিউজটি লেখার আগে খাগড়াছড়ির সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুদের মনে একবারও সে প্রশ্নটি উদয় হয়নি?