বিবৃতিটি বুধবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ প্রকাশ করা হয়।
ভিডিওতে মাসুদা ভাট্টি আরও দাবি করেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের পর ‘মানবিক করিডোর’-এর ছদ্মাবরণে রাখাইন রাজ্যে অস্ত্র পাঠানোর একটি প্রকল্প শুরু হয়। এছাড়া তিনি মিথ্যাভাবে জাতিসংঘের বাংলাদেশে আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের বরাত দিয়ে দাবি করেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও, যদি জনগণ অংশ নেয়, তাহলে নির্বাচন বৈধ হবে।’
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভাট্টির দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই এবং তার ভিডিওর একটি ছবিও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ওই ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা গেছে, এটি বাংলাদেশ দিয়ে জাতিসংঘের অস্ত্র পরিবহন নয়, বরং শাটারকক-এ আপলোড করা একটি ছবি, যার ক্যাপশন ছিল: ‘ফিলিস্তিনি ট্রাকে করে মানবিক সহায়তা কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে প্রবেশ করছে, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জাতিসংঘ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে কোনো ষড়যন্ত্র করছে—এ ধরনের অভিযোগ শুধু ভিত্তিহীন নয়, বরং বাংলাদেশের লাখো মানুষের প্রতি অসম্মানজনক, যারা নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে।’
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জুলাই আন্দোলন’ কোনো বিদেশি শক্তি দ্বারা প্ররোচিত নয়, বরং এটি ছিল স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গোয়েন লুইসের বক্তব্য বিকৃত করে উপস্থাপন করাও বিভ্রান্তিকর।
অপরদিকে, মাসুদা ভাট্টির জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাতিল হওয়ার দাবিকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ বা অফিসিয়াল বিবৃতি নেই।
উল্লেখ্য, মাসুদা ভাট্টিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্য কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু গুরুতর অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়ায় ২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। সূত্র- বাসস