ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির সদর উপজেলার কল্যাণকাঠি হাজী বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) বিকালে কল্যাণকাঠি গ্রামের হাজী বাড়ির আ: রশিদ হাওলাদারের পুত্র মো: রাকিব হাওলাদার(২৮) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির ওয়াজেদ হাওলাদারের পুত্র জলিল হাওলাদার৯৬০) এবং জলিল হাওলাদারের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৪০) ও পুত্র নয়ন হাওলাদার(১৫) কে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত জলিল হাওলাদার, নিলুফা ও নয়ন ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার জলিল হাওলাদার ও নিলুফাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে তারা বিকাল অনুমান ৫.৫৫মি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডের ১০ ও ৪ নং বেডে ভর্তি হন। নয়নকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। হাসপাতালের ভর্তির রেজি নং: ৫৪০২/১৩ ও ৫৪০৩/১৪।
ভুক্তভোগী জলিল জানান, মাদক ব্যবসায়ী ও নেশাখোর রাকিব আমার ছেলে মো: নয়ন (১৫) এর নিকট একটি অনুষ্ঠানের মোবাইলে থাকা ছবি চাইলে তা দিতে দেরী হওয়ায় রাকিবের ঘরে ডেকে তার সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। আঘাত প্রাপ্ত নয়নের কান্নাকাটি শুনে আমার স্ত্রী (নয়নের মা) ছাড়াতে গেলে তাকেও লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রক্তাক্ত ফোলা জখমসহ এবং পড়নের কাপড় চোপর খুলে ফেলে শীলতাহানি ঘটায়।
চিল্লাচিল্লির শব্দ শুনে আমি তাদের রক্ষা করতে গেলে আমার দুই চোখে খুশি দিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে ফোলা জখম করে। পরে আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করছি। আমি এই সন্ত্রাসী রাকিব গংদের বরিুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: মোশারেফ হোসেন জানান, “ভুক্তিভোগী জলিল হাওলাদার ও তার স্ত্রী নিলুফা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদেরকে চিকিৎসা গ্রহন শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার পরামর্শ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এই রাকিব ইতিপূর্বে তাদেরকে আরো একবার মেরেছিল। আমি সেই সময় তা আপোষ মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। আমার জানামতে রাকিব নেশাখোর এবং বেয়াদপ টাইপের একটি বকাটে ছেলে।”