গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের তিন সহযোগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করলেন কলকাতার আদালত।
তারা হলেন- পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং শর্মী হালদার ওরফে আমানা সুলতানা। আড়াই বছর পর শর্তসাপেক্ষে তারা জামিন পেয়েছেন। শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। এতদিন ধরে তারা ভারতের আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় ছিলেন।
জামিনের জন্য সবাইকে ৫ লাখ রুপির বন্ড জমা দিতে বলা হয়েছে। জামিন পেলেও তারা ভারতের বাইরে যেতে পারবে না। আদালতের প্রতিটি শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে তাদের। আগামী সোমবার (৭ অক্টোবর) তাদের জামিন হতে পারে।
এদিন সকালে পিকে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী মিলন মুখার্জী সবারই জামিনের আবেদন করেছিলেন। তাতে বাধা দেয় ইডির আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী। ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, মামলার ট্রায়াল শুরু হয়েছে, জামিন দেওয়া ঠিক হবে না।
মিলন মুখার্জী বলেন, আড়াই বছর হয়ে গেছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, মানিলন্ডারিং মামলায় অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছর জেল হতে পারে। কিন্তু তার আগে আড়াই বছর জেল হেফাজতে থাকলে তাকে জামিন দেওয়ায় কোনো সমস্যা থাকতে পারে না। তাহলে এখানে সমস্যা কোথায়?
দুই পক্ষের বাদানুবাদ শোনার পর তিনজনকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দেন আদালত। প্রশান্ত হালদার ওরফে শিবশঙ্কর হালদার, স্বপন কুমান মিস্ত্রী এবং উত্তম কুমার মিস্ত্রীর জামিন না মঞ্জুর করেন আদালত। আগামী ৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেপ্তার ইডি। তাদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। পিকে হালদার ও তার ৫ সহযোগী কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। পিকের নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।