দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও জাতীয় ঐক্য গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় খুলনা চেম্বার অব কমার্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণকারীরা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি বিএনডিপি’র চেয়ারম্যান ও জাতীয় ঐক্য সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী ও মিডিয়া উইং চীফ শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি এ সময় বলেন, চলমান প্রেক্ষাপটে গণভোট’ই সমস্যার সমাধান হতে পারে। যত দ্রুত নির্বাচন হবে তত দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, সংবিধান সংস্কার, পিআরপি পদ্ধতি নিয়ে যে সকল সমস্যা ইতিমধ্যে সর্বস্তরে আলোচনা হচ্ছে এর থেকে জাতিকে পরিত্রান পেতে হলে, সংবিধান সংস্কার করেই ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন এখন সময়ের দাবী। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিন শাহবাজ জামান। বক্তব্য রাখেন করিম ও মোস্তফা, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, জোবায়ের ইসলাম অলি, এস কে রিপন, সোহানা খানম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন ও সহযোগিতা করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও গণমাধ্যম কেন্দ্র।
প্রধান অতিথি শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীর সংকটাপন্ন। গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপ ছাড়া সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের উন্নয়ন ও শান্তি নিশ্চিত করতে হলে রাজনৈতিক স্বার্থের ওপরে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা চাই, সকল রাজনৈতিক দল একযোগে বসে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করুক।চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান আরও মন্তব্য করেন, “পিআর পদ্ধতি জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক সমস্যা নয়, বরং একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। পিজার পদ্ধতি বাস্তবায়িত হলে সমাজে অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করবে।